নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া হিংসায় ছয়জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে পুলিশের গুলিতে একটি মৃত্যুও ঘটেনি বলে দাবি উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মহাপরিচালক ওপি সিং। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিজনোরে দু’জন বিক্ষোভকারী এবং সাম্ভাল, ফিরোজাবাদ, মীরাট ও কানপুরে একজন করে মারা গেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা কারও দিকে গুলি চালাইনি। যদি কোনও গুলি চালানো হয় তবে তা প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকেই হয়েছিল।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার নামাজের পরে রাজ্যের ১৩ টি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজারে হাজারে মানুষ রাস্তায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে নিষেধাজ্ঞা অস্বীকার করেই রাস্তায় নামেন। বিপুল জনতা এবং পাথর ছুঁড়তে থাকা বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করার জন্য লাঠিচার্জ শুরু করে এবং কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহারও করে। শুক্রবারের নামাজের আগে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করা সত্ত্বেও এই হিংসার ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের লক্ষ্য বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পথকে আরও সহজ করে তোলা। উত্তর-পূর্বের বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন যে এর ফলে ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিকে বাতিল করে দেবে এবং এই অঞ্চলে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করবে। দেশের অন্যান্য অংশের প্রতিবাদকারীরা এই আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘অসাংবিধানিক' বলেও মনে করছেন যা আদতে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিচয়কেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।