
প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯, ২২:২৩

মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন স্কুলের দিদিমণি। তাও আবার বিয়ের মাত্র মাস চারেক পরেই। এবং ছুটি শুরু দ্বিতীয় দিনের মাথায় তিনি সন্তান প্রসব করেন। এতেই চটে গিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার উপরে বেজায় ক্ষিপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও। সেই কাড়নে ছুটি শেষ হয়ে গেলেও কাজে যোগ দিতে পারছেন না ওই শিক্ষিকা। সেই সঙ্গে দোসর হয়েছে, স্কুলের শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের অপমান। এ খবর দিয়েছে কলকাতা২৪।
এই ধরণের প্রবল প্রতিকূল অবস্থার মাঝে দাঁড়িয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই শিক্ষিকা। থানায় জানানোর আগেই স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। কারণ স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং স্কুলের প্যারেন্ট টিচার অ্যাসোসিয়েসন বা পিটিএ। ঘটনাটি দক্ষিণের রাজ্য কেরলের। যে রাজ্যের শিক্ষার হার দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুনলায় সবথেকে বেশি। এই শিক্ষার হারের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়েই রাজনৈতিক চর্চা হয়েছে দিন কয়েক আগেই। এই অবস্থায় স্কুল শিক্ষিকা নিগ্রহের এই ঘটনা যেন প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল সেই শিক্ষার হার নিয়ে। শিক্ষা থেকে চেতনা আসে এবং বিপ্লব ঘটে। বাম ছাত্র সংগঠন এই মিতাদর্শ মেনে চলে। আর কেরলে এখনও বাম রাজত্ব বর্তমান রয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব