স্বামী-স্ত্রীর নিত্য অশান্তি। শেষপর্যন্ত ছেলের সামনেই স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল স্বামী! মা-কে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে ওই দম্পতির ছোট ছেলে। এমনকি, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে অভিযুক্ত নিজেও অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের কলকাতার আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কলকাতার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রামে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকে সোনাবন্ধু বর্মন ওরফে নেশা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে স্ত্রী মিনতির সঙ্গে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় সোনাবন্ধুর। রাগের মাথায় স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। চোখের সামনে মাকে জ্বলতে দেখে ওই মহিলাকে জাপটে ধরে দম্পতির ছোট ছেলে আকাশ। ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে নেশা। এতে বাবা ও ছেলে দু’জনেই অগ্নিদগ্ধ হয়। এদিকে চিত্কার শুনে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন প্রতিবেশীরা। নেশা, তার স্ত্রী মিনতি ও ছেলে আকাশকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কামাখ্যাগুড়ি হাসপাতালে।
পরে তিনজনকেই স্থানান্তরিত করা হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে সোনাবন্ধু বর্মন ওরফে নেশার। ঘটনার সময়ে বাড়িতেই ছিল সোনাবন্ধু ও মিনতির বড় ছেলেও। তার অবশ্য কিছু হয়নি। জানা গেছে, মিনতি বর্মনের বাবার বাড়ি কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটে। খবর পেয়ে সোমবার রাতে কুমারগ্রামে যান তার বাবার বাড়ির লোকেরা। সোনাবন্ধু বর্মন ওরফে নেশার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন তাঁরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।