বরিশালে অটো চাপায় শিশু নিহত, সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বুধবার ২২শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৮:১৬ অপরাহ্ন
বরিশালে অটো চাপায় শিশু নিহত, সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনের সড়কে ১০ বছরের এক শিশু নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টা থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেট দিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্থানীয়রা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ১২টা নাগাদ বিএম কলেজের সামনের সড়ক পারাপারের সময় ব্যাটারি চালিত একটি হলুদ অটোরিকশা শিশুটিকে চাপা দেয়, যার ফলে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।


নিহত শিশুর নাম জান্নাতুল মাওয়া (১০)। সে পটুয়াখালী সদরের ফৌজদারি পোল এলাকার মো. নিজাম উদ্দিনের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মাওয়া বিএম কলেজ রোড এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। ঘটনার সময় চিপস কিনে রাস্তা পার হচ্ছিলো, তখন অটোরিকশাটি তাকে চাপা দেয়। অটোরিকশাটি চালকসহ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়।


বিএম কলেজের শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন জানান, "এই ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাতে এখানে একত্রিত হয়েছি। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, এবং হত্যাকারী চালককে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। পাশাপাশি, কলেজের সামনে ফুটপাত দখলমুক্ত করারও দাবি জানাচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলবে।"


এদিকে, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে নগরের অন্যান্য সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং অনেক মানুষকে বিকল্প পথ বেছে চলাচল করতে হয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে বিএম কলেজের সামনে গড়ে ওঠা টং দোকানগুলো ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সরিয়ে নিচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে, তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রতি অনড় রয়েছেন।


বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, "শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। তাদের দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া হচ্ছে।"


এছাড়া, বিএম কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, "সড়ক নিরাপদ রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে আর কোনো শিশুর প্রাণ হারাতে না হয়।"