সাভারের আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকার এক জমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে জোড়পূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় নয় জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. মোকলেছুর রহমান। অভিযুক্তরা হলেল, আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকার শানু মিয়ার দুই ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৫), শাহেদ আলী রিপন (৪০), শাহেদ আলী রিপনের স্ত্রী সাথী বেগম (৩৩), মৃত বছির উদ্দিনের দুই ছেলে শানু মিয়া (৬০), নজর আলী (৫৫), শানু মিয়ার স্ত্রী বেগম (৫০), আনছার আলীর দুই ছেলে নাঈম (২০), ফাহিম (১৮) ও নজর আলীর ছেলে নাফিজ (১৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার তৈয়বপুরে মো. মোখলেছুর রহমানের মালিকনাধীন চালা জমি অভিযুক্তরা অবৈধভাবে জবর-দখলের পায়তারা সহ তাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছিলো। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পর মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসে। আদালত থেকে রায় পাওয়ার পর ওই জমিতে নির্মাণ কাজ করার জন্য ইট, বালু আনা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ১২ নভেম্বর বিকেলের দিকে অভিযোক্তরা লাঠি, লোহার রড নিয়ে উক্ত জমিতে এসে খারাপ ভাষায় গালি-গালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা মোখলেছুর কে সহ তার পরিবারের সবাইকে এলোপাতাড়ি ভাবে মাধর করে। এসময় ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী মোখলেছুর রহমান বলেন, তারা জাল দলিল করে আমাদের জমি দখলের পায়তারা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়ে আদালতে মামলাও করা হয়। আদালত থেকেও মামলার রায় আমার পক্ষে আসে। আমি ইট, বালু এনে রাখছি জমিতে নির্মাণ কাজ করার জন্য। কিন্তু তারা আমাকে আমার জমিতে কিছুই করতে দিচ্ছে না। জমিতে নির্মাণ কাজের জন্য শর্মিকরা আসলেই তাদেরকেও ভয়- ভীতির দেখিয়ে তারিয়ে দেয়। কোন কাজ করতে দেয় না। এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে কি আমার জমিতে আমি কিছু করতে পারবো না? দেশে কি প্রশাসন নেই? কোন বিচার নেই? এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক কায়সার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকেই কাগজপত্র নিয়ে থানায় বসা হয়েছিলো। মোকলেছুর রহমানের দলিল মুলে আদালত বৈধতা দিয়েছে। অপর পক্ষের বর্তমান রেকর্ডের বিএস রেকর্ড রয়েছে।