প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৬
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ১৪৩টির মধ্যে দুটি দল প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, এই দুই দল হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ। তারা শর্ত পূরণ করেছে এবং এনসিপি প্রতীকের ব্যবহার নিয়ে একটি চিঠি প্রদান করা হবে। নিবন্ধনের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি পরে প্রকাশিত হবে।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ১৪৩টির মধ্যে ২২টি দলের তথ্য মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি দলকে প্রাথমিকভাবে যোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি দলের বিষয় অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। অন্যদিকে সাতটি দলের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তা জানান, তিনটি রাজনৈতিক দল এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এগুলো হলো বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ)। এছাড়া, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নিবন্ধনের বিষয়ে আদালতের রায় রয়েছে।
নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে দলগুলোর কার্যকারিতা ও মাঠপর্যায়ের তথ্য। ২২টি দলের মধ্যে সাতটি দলকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এসব দলের মধ্যে ফরোয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-সিপিবি এম), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি রয়েছে।
আখতার আহমেদ আরও জানান, ৯টি দলের কার্যকারিতা অতিরিক্ত তদন্তাধীন। এই দলগুলো হলো আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা এবং জনতা পার্টি বাংলাদেশ।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে। তারা উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিকভাবে যোগ্য দলগুলোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে এবং পরে চূড়ান্ত নিবন্ধনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইসি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকারিতা এবং নীতি-নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের তথ্যকে গুরুত্ব দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে যোগ্য ঘোষিত দুটি দল দেশের রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দলগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাছাই চালিয়ে যাবে।