প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:১৭
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। এ সম্মেলনে অন্তত ৭৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানও ছিলেন।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) শুরু হওয়া এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ বজায় রাখা, রাজনৈতিক সমর্থন জোরদার করা এবং মানবাধিকারসহ সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ।
সম্মেলনে মিয়ানমারের বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি সার্বিক, সুনির্দিষ্ট ও সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিশেষভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য প্রদান করেছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের সমস্যার ন্যায্য সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
সম্মেলনে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) যথাক্রমে তুরস্ক ও কুয়েতের প্রতিনিধিত্ব করেছে। এটি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমন্বয়ের প্রয়াসকে আরও দৃঢ় করেছে।
সম্মেলনের পূর্বে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, মিয়ানমার বিষয়ক মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপ এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল। বৈঠকগুলোতে রোহিঙ্গা সংকটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আলোচনায় রাখাইন রাজ্যের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথনকশা, শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনের মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও বাস্তবায়নযোগ্য পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি দ্রুতভাবে উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে।