‘পুত পুত’ আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া যাবে না : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২৪ অপরাহ্ন
‘পুত পুত’ আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া যাবে না : মান্না

যাদের দয়া-মায়া নেই তাদের বিরুদ্ধে ‘পুত পুত’ আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া যাবে না এমন মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, পরিকল্পনা ও ছক ছাড়া কোনো আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া যায় না।তাই রাজনীতি স্পষ্ট করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হবে।বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তোপখানায় শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘উপ-নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন মান্না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজনৈতিক দলের ঐক্যের জন্য জনগণ অপেক্ষা করবে না।মানুষ পরিবর্তন চায়।সাহস করে রাজপথে নামতে হবে।ঘরে বসে আন্দোলনের কথা বললে হবে না।আন্দোলনের পটভূমি রচনা করতে হবে, নতুন পথের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।তিনি বলেন, সাহস করে জনগণকে উজ্জীবিত করে গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে নামার কোনো বিকল্প নেই।‘বেগম জিয়া সরকারের অনুকম্পায় মুক্ত হয়েছেন’- আওয়ামী লীগ নেতাদের এই বক্তব্যে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না তার দল। কেন?

উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, এই সকল উপ-নির্বাচনে বিএনপি এককভাবেই অংশ নিচ্ছে।এতে বিএনপিরও যেমন কোনো লাভ হবে না, জনগণেরও কোনো লাভ হবে না। এই সকল উপ-নির্বাচনে বিএনপি ২-১ আসনে জিতলেও জনগণের কিছু আসে যায় না।বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, জাতি এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকারি দলের নেতাকর্মী আর কর্মচারীরা পুরো দেশে লুটের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছে। যখন ভোটাধিকার ধ্বংস হয়ে যায়, গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়, ন্যায়বিচারের অভাবে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করে তখন রাষ্ট্র ও সমাজ লুটেরাদের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করল তারাই আবার সংসদে গেল। তারাই এখন উপ-নির্বাচনে যাচ্ছে। এই ধরনের দ্বিচারিতা জনগণ কখনো গ্রহণ করে না। ফলে তাদের ওপর জনগণের আস্থাও থাকে না।’এই সরকারের পরিবর্তন ঘটলে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয়। রাজনৈতিক এজেন্ডা নির্ধারণের মধ্য দিয়েই দুর্নীতি ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

’সংগঠনের সভাপতি মুহম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রমুখ।