ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৭:১৫ অপরাহ্ন
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে

পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান।১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানাআরোপ ও আদায়।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়। মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি এর সার্বিক নির্দেশনায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর পরামর্শ  এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত  ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগরীর শ্যামবাজার পেঁয়াজের আড়ত,

যাত্রাবাড়ী পেঁয়াজের আড়ত ও মালিবাগ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার ও মাগফুর রহমান।এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ৪১টি টিম বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

তদারকিকালে পেঁয়াজ, আদা,আলু ও চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও পণ্য, নকল পণ্য এবং ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬,৬৮,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সেই সাথে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাক সেল) মনিটরিং করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  জনাব বাবলু কুমার সাহা বলেন ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে  সারাদেশে  নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে অধিদপ্তর তদারকি ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।দেশে পেঁয়াজ ,আদা,আলু, চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ  রয়েছে। তাই ন্যায্য মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানান তিনি সকল ধরনের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীকে অবশ্যই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে মর্মে জানান তিনি।