প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:৫৩
বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের কুঞ্জপট্টি আশ্রয়ন প্রকল্পের কয়েকটি ঘর মেঘনা নদীর ভাঙনের কারণে ভেঙে যায়। আর সেই ভেঙে যাওয়া ঘর গুলোর মালামাল নিলাম ছাড়াই নিজের ক্ষমতাবলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ধুলখোলা ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা(তহশীলদার) শংকর মালাকারের বিরুদ্ধে। ভেঙে ফেলা ঘর গুলোর মালামাল মাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সরকারি এই মালামাল বিক্রির জন্য কোনো নিলাম দেননি এই তহশীলদার।
তবে তিনি দাবি করেন, আশ্রয়নের ৭টি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকী গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নির্দেশেই সড়িয়ে আনা হয়েছে। ঘর গুলো সড়াতে তাকে লেবার এবং ট্রলারের ভাড়া পরিশোধ করতেই মালামাল বিক্রি করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে মালামাল বিক্রির নিলাম হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তার কাছ থেকে উত্তর মেলেনি। যারা আশ্রয়নের মালামাল কিনেছেন তার মধ্যে সমীর মালাকার,
নিমাই মালাকার ও রাম প্রসাদ জানান, তারা তহশীলদার শংকর মালাকারের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে উক্ত মালামাল কিনেছেন তাদেরতো কোনো দোষ নেই। ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল দপ্তরী জানান, সরকারের লোক সরকারি মালামাল বিক্রি করে দিয়েছে আমরা বাধা দেয়ার কে। হিজলা উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাশ জানান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে,
তাছাড়া বিষয়টি তদন্তের জন্য হিজলা ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায় জানান, প্রকল্পের কোনো জিনিস বিক্রি করতে হলে জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে নিলাম করে বিক্রি করতে হবে। অন্যথায় কেউ এই মালামাল বিক্রি করতে পারবে না।