প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২০, ৩:২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হাউলি গঙ্গাধরদী গ্রামে (পশ্চিমপাড়া) সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহোদর দুই ভাইকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন শামীম মাতুব্বর (২২) ও তার ছোট ভাই নবম শ্রেণির ছাত্র রাকিব মাতুব্বর (১৫)। প্রতিপক্ষ ছদ্দাক মাতুব্বর ওরফে ছত্তার ও তার ছেলেরা কুপিয়ে তাদের হত্যা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছত্তার মাতুব্বর (৭০) ও তার ছেলে সালাম মাতুব্বরকে (২৫) আটক করেছে। বাকিরা পলাতক। নিহত শামীম ও রাকিব হাউলী গঙ্গাধরদী গ্রামের গিয়াস মাতুব্বরের ছেলে। দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত শামীম ও রাকিবরা মোট চার ভাই। বড় ভাই শাহীন মাতুব্বর মালয়েশিয়া থাকেন। দ্বিতীয় ভাই আলিনুর ও নিহত শামীম ঢাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। ছোট ভাই রাকিব স্থানীয় গঙ্গাধরদী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করত। বাবা গিয়াস মাতুব্বর কৃষিকাজ করে সংসার চালান। গিয়াস মাতুব্বরের ছেলে রাকিব রবিবার বিকালে বাড়ির পাশের বিলের মধ্যে পুটি মাছ মারার কারেন্ট জাল ফেলার জন্য আবর্জনা পরিষ্কার করে জাল পেতে বাড়ি চলে আসে।
কিছুক্ষণ পরে ছত্তার মাতুব্বরের ছেলে জামাল মাতুব্বর রাকিবের জালের ওপর দিয়ে জাল ফেলে সেও বাড়ি চলে যায়। সন্ধ্যায় রাকিব তার জালের ওপর জাল ফেলা দেখে সে অন্য জালকে গুছিয়ে ডাঙায় রেখে দেয়। এ নিয়ে জামাল মাতুব্বরসহ তার ভাইয়েরা রাকিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন এবং মারধর করার হুমকি দেন। সোমবার সকালে জামাল মাতুব্বর ও তার চার ভাই মিলে শামীম ও রাকিবকে এলোপাতাড়িভাবে রামদা দিয়ে নৃশংসভাবে কোপায়। এতে শামীম ঘটনাস্থলে মারা যায়। ছোট ভাই রাকিবকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও মারা যায়।
নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক জানান, মাছ ধরা নিয়ে আগের দিন দুই পরিবারের মাঝে ঝগড়া হয়। সোমবার সকালে শামীম ও রাকিব প্রতিপক্ষের বাড়ির দিকে গেলে সাত্তার মাতুব্বরের ছেলেরা বের হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের হত্যা করে।অতিরিক্ত পলিশ সুপার গাজি রবিউল ইসলাম বলেন, এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মাছধরাকে কেন্দ্র করে সহোদর দুই ভাইকে ছত্তার মাতুব্বর গংরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।