প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২০, ২২:৫৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিনকে নেত্রকোনা সদর উপজেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাইফুল ইসলাম সংক্রামক প্রতিরোধ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দেন এবং এক পর্যায়ে তার ছাত্রত্ব বাতিল করার হুমকি দেন।
নেত্রকোনা সদর উপজেলায় পৌছানোর পথিমধ্যে নেত্রকোনা সদরের কচিকা বাজারে এলাকায় পৌছালে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাইফুল ইসলাম তাদের গাড়ি থামিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার অভিযোগ করেন।
এতে জবি ছাত্র আল আমিন বলেন, আমরা সবাই যেহেতু একই পরিবারের সদস্য তাই একই গাড়িতে সবাই একসাথেই বাড়ি যাচ্ছি এতে সামাজিক দূরত্ব কিভাবে বজায় রাখবো?
আমি আমাদের অপরাধ জানার ইচ্ছে প্রকাশ করলে ওনি "সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ" এর মামলা দেন। যেখানে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ আইনে বলা হয়েছে- “যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটান বা ঘটতে সহায়তা করেন বা স্থানের সংস্পর্শে আসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি গোপন করেন তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। অথচ, আমি শুধু আমার পরিবার নিয়ে প্রাইভেট কার দিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলাম। আমি বা আমার পরিবারের কেউই করোনা তো দূরে থাক করোনার উপশমও নেই!!! যখন প্রফেশনের প্রশ্নের উত্তরে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে পরিচয় দিই তখন আমাকে ওভার স্মার্টনেসের কথা বলে সবার সামনে হেয় করে।