প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ২১:৫১
ইউজিসির নির্দেশে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছে অনলাইন ক্লাস। অনলাইন ক্লাসগুলো সাধারণত জুম কিংবা গুগল মিটের মাধ্যমে হয়ে থাকে যার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডিভাইস আর উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্হা।বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট গতির অবস্থা খুবই নাজুক।ইতোমধ্য করোনার কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে।
ডিভাইস কিংবা ইন্টারনেটের কারনে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তাছাড়া উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারনে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে না পারায় ইয়ার ড্রপের ভয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে ক্লাসে অংশগ্রহণ করার জন্য।তেমনই এক শিক্ষার্থী জবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মৃদুল হাসান। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন কিভাবে তিনি কষ্ট করে চালিয়ে যাচ্ছেন অনলাইন ক্লাস।কিন্তু কতদিন!
ফলাফল টা কি হবে,ফোন নাই, এমবি নাই, নেটওয়ার্ক নাই তাই ক্লাস করা হবে না । পরিক্ষার খাতা ফাকা যার জন্য সেমিস্টার ড্রপ ।পরিবারের স্বপ্ন ভঙ্গ, গ্রামের মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ ও বন্ধুদের স্বপ্ন ভঙ্গ । যার কারণে ছেলেটির স্বপ্ন ভঙ্গ, হতাশা ও সব শেষে যা হয়ে থাকে সচারাচর তাই হয়তো হবে । দোষটা কে নিবে? করোনা? বন্যা? নেটওয়ার্ক? নাকি নিম্নবিত্ততা?জানিনা কি আছে জীবনে, জীবন আমার, স্বপ্ন আমার, ভবিষ্যৎ আমার কিন্তু এগুলো ভেঙ্গে ফেলার অধিকার অন্যের!