এখন মানুষকে বাঁচানোই একমাত্র রাজনীতি: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৫শে জুন ২০২০ ০৪:১৬ অপরাহ্ন
এখন মানুষকে বাঁচানোই একমাত্র রাজনীতি: কাদের

সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বিরাজনীতিকরণের যে অভিযোগ তুলেছেন সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিহবন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ সংকটকালে সরকার ও আওয়ামী লীগ  কোন রাজনীতি করছে না। করোনার সংক্রমণ রোধ ও মানুষকে বাঁচানোই হচ্ছে এখন একমাত্র রাজনীতি। 

তিনি আজ তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। সরকারের নাকি পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রকৃতপক্ষে নেতিবাচক ও অন্ধ সমালোচনা নির্ভর রাজনীতির জন্য বিএনপিরই পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

বক্তৃতা বিবৃতির মাধমে সরকারের সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির এখন আর  কোন রাজনীতি নেই, অসহায় মানুষ থেকে তাদের অবস্থান এখন যোজন যোজন দূরে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যারা সমন্বয়ের কথা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, পৃথিবীর কোথাও কি এমন নজীর আছে? 

মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাজনীতিবীদের কাজ নয়, যাদের দরকার, সেসব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তাদের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন আক্রান্ত রোগীদের সেবা দানে সর্বোচ্চ  চেষ্টা করছে, ফ্রন্ট লাইনে কর্মরত যোদ্ধারা যখন জীবন বাজি রেখে কাজ করছে, তখন কিছু হাসপাতাল, ক্লিনিক যে কোন সাধারণ সেবায় গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করাচ্ছে কিংবা করোনার রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছে না, এমন পরিস্থিতিতে ঢালাওভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণ রোগীদের ওপর চাপানো কতটা যৌক্তিক?

মন্ত্রী তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, কিছু হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করার নানান ছল চাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে, এ মূহুর্তে এটি মোটেও সমীচীন নয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৬৬টি কেন্দ্রে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে, সরকার পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় টেস্ট সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতি যেমনি লক্ষ্য অর্জন করেছে তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পারস্পরিক সহমর্মিতা, ত্যাগ ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের মাধ্যমে উত্তরণের পথে জাতি এগিয়ে যাবে।