অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই বাস্তবায়ন হবে নবম জাতীয় বেতন কাঠামো

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মেয়াদকালেই নবম জাতীয় বেতন কাঠামো গেজেট আকারে প্রকাশ করে বাস্তবায়ন করবে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের শুরুতে—জানুয়ারি, মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে নতুন পে-স্কেল কার্যকর হতে পারে। এজন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করা হয়। সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই বাস্তবায়িত হবে। এজন্য রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।”

বর্তমান কাঠামোতে সর্বোচ্চ (গ্রেড-১) ও সর্বনিম্ন (গ্রেড-২০) বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১। নতুন কাঠামোতেও এটি ৮:১ থেকে ১০:১ এর মধ্যে রাখা হবে। অর্থাৎ উচ্চ ও নিম্ন গ্রেডের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় কমিশন বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

কমিশন প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, বিদ্যমান ২০টি গ্রেড থেকে গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে ১৫ বা ১২টি করার আলোচনা চলছে। পাশাপাশি চিকিৎসা ও শিক্ষা ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হলে প্রায় ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারী এর সুফল ভোগ করবেন।