প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ২:৩৭
সুপার ঘূর্নিঝড় আম্পানের তান্ডবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় গাছের নিচে ছাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ডুবে গেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার। ভেঙেছে প্রায় তিন শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, অসংখ্য গাছপালা, পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসলাদি, জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ । ভেঙেছে রাস্তা ঘাট।
জানা যায়, আম্পানের তাণ্ডবে চরফ্যাশন- দক্ষিণ আইচা সড়কে হলুদ বিল্ডিং এলাকায় বুধবার দুপুরে গাছের নিচে চাপা পড়ে ছিদ্দিক ফকির (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সিদ্দিক ফকির উপজেলার চর কচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত আরব আলী ফকিরের ছেলে। এদিন পুকুরে থালা-বাটি ধুতে গিয়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে এওয়াজপুর ইউনিয়নের শাহাবুদ্দিনের স্ত্রীর ইয়ানুর (৩৫) আহত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন ঢালচর, কুকরি মুকরি, মুজিব নগর, বেড়িবাঁধের বাহিরের চরআইচা, চরকচ্ছপিয়া, জাহানপুর, হাজারীগঞ্জ, চরফকিরা, চরহাসিনা, চরফারুকী সহপ্রায় ২০ টি চর এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫/৬ ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানির স্রোতে এসব এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে যায় উপকূলের প্রায় তিন শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি। ভেসে যায় পুকুরের মাছ, ক্ষেতের ফসল।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চরফ্যাশনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। এতে বিদ্যুৎ বিহীন অন্ধকারে থাকতে হয়েছে চরফ্যাশন বাসিকে । উপকূলের প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কন্দ্রে এনেছেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা সিপিবি কর্মকর্তা মোকাম্মেল হোসেন জানান, আম্পানের তাণ্ডবে উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক কাচা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক পাঁচ শতাধিক ঘর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল হাসনাইন জানান, আম্পানের আঘাতে চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।