প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৬
টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মেরাজ (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ সোহেল (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের আভিযানিক দল ও র্যাব-১, সিপিসি-২, ঢাকার সহায়তায় ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে দক্ষিনখান থানাধীন গাওয়াইর বাজার, মাদ্রাসা রোডের সামনে থেকে সোহেলকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মৃত মেরাজ এবং ধৃত আসামী একই এলাকার বাসিন্দা ও বন্ধু ছিলেন। ৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য মেরাজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। খেলা বাদ দিয়ে মেরাজ বাড়ি ফিরার পথে বীরপুশিয়া সাকিনস্থ জুম্মাবাড়ি জামে মসজিদের সামনে ধৃত আসামী ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেরাজের মৃত্যু হয়।
মেরাজের দাদা এ ঘটনার পর ৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধারা ৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬ সংযোজন ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলা রুজুর পর সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করে।
ধৃত আসামীর বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর আভিযানিক দল ঢাকার সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে এবং গ্রেফতারিতে সফল হয়। গ্রেফতারকৃত সোহেলকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, অভিযানের সময় স্থানীয়দের সহযোগিতা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়েছে। এই গ্রেফতারের ফলে মামলার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য সহযোগীদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যাতে কেউ পালানোর চেষ্টা করতে না পারে।
ঘটনায় মেরাজের পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রেফতারের প্রশংসা জানানো হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত এবং ন্যায়সঙ্গত বিচার হবে এবং এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
এই গ্রেফতারি টাঙ্গাইল জেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে র্যাব ও পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগের সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।