প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২
কক্সবাজারের টেকনাফে ক্যাম্পের বাইরে অবৈধভাবে বসবাসরত রোহিঙ্গা দম্পতি ইয়াবা মাদক পাচারের অভিযোগে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে ইসলামাবাদ এলাকায় বসবাসকারী মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৭) এবং তার স্ত্রী রাবিয়া (৩৫)। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজমিস্ত্রি পেশার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিকুর রহমান রবিবার (৫ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে পাচার হওয়া ইয়াবার একটি চালান ইসলামাবাদ এলাকার এক ভাড়া বাসায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা একটি বিশেষ অভিযান চালান। ভোর রাত আড়াইটার দিকে অভিযান শুরু হলে মোহাম্মদ আইয়ুব এবং তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি এবং বিজিবি’র বিশেষ ডগ স্কোয়াডের অনুসন্ধানে বাসার ভিতরে সতর্কতার সঙ্গে লুকানো ৯ হাজার ৪’শত ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তল্লাশির সময় জানা যায়, আইয়ুব দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে অবৈধভাবে বসবাস করছেন এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি রেশন সংগ্রহের জন্য প্রতি মাসে জাদিমোড়া ক্যাম্পে যাতায়াত করতেন। অভিযুক্ত আইয়ুব এবং তার স্ত্রী রাবিয়াও নিকটবর্তী মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সরবরাহ করতেন।
আইয়ুবের বাসায় আরও ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। তার দীর্ঘমেয়াদী পেশা ছিল অটো মেকার ও অটো চালক, পরে রাজমিস্ত্রি পেশার আড়ালে অবৈধভাবে ইয়াবা ব্যবসায় লিপ্ত হন। তার সহযোগী ছিলেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ঈসমাইল। অভিযুক্তরা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে স্থানীয় ও অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন।
এই অভিযান স্থানীয় সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাম্পের বাইরে অবৈধভাবে বসবাসরত ব্যক্তিদের নিয়মিত নজরদারি এবং কঠোর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে বিজিবি অভিযান অব্যাহত রাখবে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাদেরকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, পলাতক মাদক ব্যবসায়ী ঈসমাইলের খোঁজে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই সফল অভিযান বিজিবি’র জিরো টলারেন্স নীতি ও সীমান্ত সুরক্ষায় অঙ্গীকারের প্রমাণ।
স্থানীয়রা আশা করছেন, এই ধরনের অভিযান সীমান্ত ও শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে আরও সচেতন অভিযান পরিচালনা করে অপরাধী চক্রের কার্যক্রম সীমিত করা হবে।