প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৭
সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল পৃথক দুটি অভিযানে দুইটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে। প্রথম ঘটনায়, বগুড়া জেলার ধুনট থানার ১৩ বছরের শ্যালিকাকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ ইউসুফ আলী (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় ১২ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ বিকাল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে ইউসুফ আলী শ্যালিকাকে ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়। ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর র্যাব দ্রুত ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ৪ অক্টোবর রাত ৭:৩০ মিনিটে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানাধীন তক্তারচালা বাজার এলাকা থেকে ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করে।
দ্বিতীয় ঘটনায়, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ সুমন (৪৫) গ্রেফতার হয়েছে। মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৫ জুন ২০২৫ খ্রিঃ ভিকটিম নাবালিকা (১৭)কে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। বাদী এ ঘটনার পর আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন এবং ২৩ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ মধুপুর থানায় মামলা নং-১৫ রুজু হয়। ৪ অক্টোবর রাত ৯:৪৫ মিনিটে সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ আভিযানিক দল টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানাধীন সারিঙ্গাচোলা এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উভয় ধর্ষককে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব সূত্রে জানা যায়, অভিযানের সময় স্থানীয়দের সহযোগিতা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়েছে। এই গ্রেফতারের মাধ্যমে দুইটি নৃশংস ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
স্থানীয়রা র্যাবের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অভিযান চালানো হবে। র্যাব ও পুলিশ তাদের সতর্কতা অব্যাহত রাখছে যাতে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কেউ পালাতে না পারে এবং ন্যায়বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা যায়।
এই অভিযান টাঙ্গাইল অঞ্চলে নারী ও শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগের সফল উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জনগণ আশা করছে, ভবিষ্যতে এমন নৃশংস অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।