প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২০, ২১:৪১
কি হলো আমাদের একদিকে করোনা মানুষের মধ্যে বলে কি রোগ, এখন খেতে ব্লেষ্ট রোগে সব শেষ হয়ে গেছে?করোনার জ্বালা যদিও না মরি ঋণের জ্বালায় মরতে হবে আমাদের, সরাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়নমনি সুএধরকে গতকাল জমির ব্লেষ্ট আক্রান্ত ফসল দেখতে গেলে কৃষকেরা হতাশ হয়ে এমন করে বলছিলেন । ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়ন উচালিয়া পাড়া এলাকায় শত শত কৃষক পরিবার হতাশায় দিন গুনছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ধানের শীষে ব্লেষ্ট বা ছএাকে কৃষকের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া নেমে এসেছে। জমির আইলে বসে হায় হুতাশ করছেন তারা।
ধানের ছত্রাক জনিত রোগ দেখা দিয়েছে বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নয়নমনি সুএধর জানিয়েছেন।বুধবার (২২ এপ্রিল ) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বোরো ধানের ফসলটির সব ধরনের পরিচর্যার কাজ শেষ হয়ে গেছে। বোরো ধানের জমিগুলোতে শীষ বের হচ্ছে। স্বপ্নের ফসল ঘরে উঠতে বাকি আর কিছুদিন। কিন্তু এর মধ্যে অনেক জমিতে ধানের শীষ চোষা (ছত্রাকজনিত রোগের) কৃষকের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া নেমে এসেছে। জমির আইলে বসে হায় হুতাশ করছেন কৃষকরা। তাদের অভিযোগ কৃষি অফিস সঠিক পরামর্শ দিচ্ছে না। তবে কৃষি অফিস তাদের অভিযোগ মানতে নারাজ।
তাদের দাবি কৃষকদের সচেতনতা বাড়াতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।অনেকে ব্যাংক-বীমা, এনজিও এবং স্ত্রী-কন্যার গহনা বন্ধক রেখে চড়া সুদে টাকা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন কৃষকরা জানান। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা থাকলেও এখন তা পুরণ হওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।
সরাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়নমনি সুএধর বলেন,আমরা সবসময় একজন কৃষকে পরামর্শ দিয়ে থাকি সরকার অনুমোদিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার জন্য। অনেক কৃষক মনে করে আমার জমিতে ছত্রাকনাশক আক্রােমন করে নাই আমি স্প্রে কেন করব। আমাদের মরার্মশ থাকে জমিতে এ রোগ দেখা দিলে পাশের প্রত্যেকটা জমিসহ ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে আর রোগ ছড়াতে পারে না। এ রোগে জমিতে তিনবার স্প্রে করতে হয় বলে জানান।