করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও ভারতীয় নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে দু'দেশের স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা জারির পর দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলের বহির্গমন বিভাগে বিরাজ করছে শুনশান নীরবতা। মাঝে মধ্যে দু'একজন ভারতীয় নাগরিক নিজ দেশে ফেরত যেতে ইমিগ্রেশন বিভাগে আসলেও বাংলাদেশ থেকে কোন যাত্রী ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে আসেনি। পাশাপাশি ভারতীয় কোন নাগরিকও বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য আসেনি।
তবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত লিখিত কোন চিঠি না পাওয়ায় ভারতীয় কোন নাগরিক ইমিগ্রেশন বিভাগে আসলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। একজন বলেন, চিকিৎসার জন্য গেছিলাম, তবে ডাক্তার দেখাতে পেরেছি। আরও দুই একদিন থাকতে পারতাম। কিন্ত করোনা ভাইরাসের জন্য থাকতে পারিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আমদানি- রপ্তানি কার্যক্রম ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আছে। ভারত থেকে যে সব ট্রাক এবং ড্রাইবার আসছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই বন্দরের ভিতর প্রবেশ করানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার সকালে বাংলাদেশ ও ভরতীয় ৯০ জন নাগরিক পারাপার হয়েছে। তবে দুপুরের দিকে এ স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় উভয় দেশের যাত্রী পারাপার। এতে দেশে ফিরতে না পারায় বন্দরে গিয়ে বিপাকে পড়েন ভারতীয় নাগরিকরা। একইভাবে ভারতের মাহাদিপুর বন্দরেও আটকা পড়েছেন বাংলাদেশীরা।
একজন বলেন, আমার বাড়ি ভারতে, আমি বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্ত বর্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়া এখন ভারতে যেতে পারছি না। আরেকজন বলেন, ভারত যেতে পারছি না। তাই এখন খোলা আকাশের নিচে বসে আছি ব্যাগ নিয়ে।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদ বলেন, করোনার প্রভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলেও হিলি ও সাতক্ষীরার ভোমরাসহ সবকটি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।