প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১:১৯
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্ট। বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া একটি পোস্টে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এই দুটি সংগঠন নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বর্তমানে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এই ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত এই সংগঠন দুটি দেশের রাজনীতিতে নানা সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত ভূমিকা রেখে এসেছে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার পোস্টে আরও লেখেন, “গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্নকরণ নিশ্চিত করাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার।” তার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিগত কয়েক দশক ধরে দেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে এই সংগঠনগুলোর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
তবে নানা সময়ে এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠন দুটি। এসব অভিযোগের কারণেই কি না, তা স্পষ্ট না হলেও বর্তমানে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারপ্রধানের উপদেষ্টার এমন বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ঘোষণাকে বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছে অনেকে। আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনীতিতে এর কী প্রভাব পড়ে, সে দিকেই এখন সবার নজর।