দুদক বিরোধীদের হয়রানি করে, ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৪ অপরাহ্ন
দুদক বিরোধীদের হয়রানি করে, ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয়

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর ফলোআপ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।

গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, দুদকের কার্যক্রম ও ক্ষমতার ব্যবহারের কারণে এর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। টিআইবি বলছে, দুদকবিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি করা এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয় প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দুদকের কার্যক্রমে। দুদক রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। কারণ দুর্নীতির ঘটনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ আচরণ পেতে সমর্থ হয়নি বলেও জানিয়েছে টিআইবি।

সংস্থাটির মতে, কমিশন পক্ষপাতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সকলের বিরুদ্ধে সমানতালে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। তথ্যদাতাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তাদের বেশিরভাগই বিরোধী রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্ত। তবে কয়েকজন রয়েছেন যারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য।

দুদকের কর্ম সম্পাদনের স্বাধীনতাও কিছুটা নিম্ন বলেছে টিআইবি। এ বিষয়ে সংস্থাটির ভাষ্য, কিছু ক্ষেত্রে দুদক সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের চাপের সম্মুখীন থাকে। আর কিছু ক্ষেত্রে সরকারের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য দুদক নিজস্ব ধারাপ্রসূত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করা থেকে বিরত থাকে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত আছেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর