উখিয়ায় আবারো ক্লাসরুমে ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৯শে জুলাই ২০১৯ ১২:৪৯ অপরাহ্ন
উখিয়ায় আবারো ক্লাসরুমে ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা!

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় একের পর এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিভাবক মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। গত ১১ জুলাই মসজিদের এক ইমাম ২য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে ওই ইমামের বিরুদ্ধে। যা পুরো উখিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই সপ্তাহের ব্যবধানে  আবারো স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে খুরশেদ আলম জাহেদ (৩৩) এক নামের ব্যক্তি। সে মধ্যম ডিগলিয়াপালং কেরামইত্তা পাড়ার মোঃ কালুর ছেলে। এ নিয়ে নতুন করে আবারো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছ।ছাত্রীর পিতা পূর্বডিগলিয়াপালং মুরাপাড়া এলাকার মোঃ শাহজাহান বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় তার ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে কোচিং করার জন্য সকাল ৮টার দিকে পূর্বডিগলিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যায়। বিদ্যালয়ে প্যারা শিক্ষক নুরুল আলম নুরু বিদ্যালয়টির দরজা-জানালা খুলে দিয়ে পাশ্ববর্তী দোকানে নাস্তা করতে গেলে ওই মুহুর্তে জাহেদ স্কুলের ক্লাস রুমে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা দৌড়ে গিয়ে প্যারা শিক্ষক নুরুল আলমকে বললে সে সাথে সাথে স্কুলে আসে। এসময় দরজা খুলে জাহেদ পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।এ ব্যাপারে জানার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার ছৈয়দ করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করার পরও মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, জাহেদ ইতোপূর্বে এ ধরণের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বলেন, এ ধরণের ঘটনা আমাকে কেউ অবগত করেনি। তবে এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযোগ উঠেছে একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কতিপয় লোকজন প্রশাসনকে ম্যানেজ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যার কারণে উপজেলা শিক্ষক অফিস এবং থানাকে অবগত করেনি।এদিকে স্কুলে অধ্যায়রত ছাত্র-ছাত্রীরা জাহেদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, এর উপযুক্ত বিচার না হলে তারা ক্লাস বর্জন করতে বাধ্য হবে। এছাড়াও ইউএনও এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদানের করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।