গত ১২জুন নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসান ও এক মটরসাইকেল আরোহী সাথে বাকবিতন্ডা হয়। সেই ঘটনা বরিশালের স্থানীয় পত্রিকা সহ বেশ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে ট্রাফিক পুলিশকে হেয়পতিপন্ন করে সংবাদ প্রকাশ করেন। মূলত ওই দিন কি ঘটেছিলো। ঘটনার অনুঘটক মোঃ তামিম মল্লিক নগরীর কালিবাড়ি রোড মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের কার্যালয়ে হাজির হয়ে বলেন, ১২জুন বিকাল সাড়ে ৪টার সময় তামিম নবগ্রাম রোড থেকে সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দিকে আসার সময় ট্রাফিক কনস্টেবল /৯২৭ মোঃ ইব্রাহিম তার মটরসাইকেলটি গতিরোধ থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায়। এসময় সেখানে উপস্থিত ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসান আহম্মেদকে গাড়ির কাগজপত্র প্রদর্শন করে তামিম মল্লিক। তখন সার্জেন্ট হাসান আহম্মেদ তার গাড়ির মালিকানা বদলির কাগজ সাথে না থাকায় একটি মামলা দিয়ে তামিমের ড্রাইভিং লাইন্সেস জব্দ করেন। তামিম ড্রাইভিং লাইন্সেস আটকের বিষয়ে আপত্তি জানালে তার সাথে সার্জেন্ট হাসান আহম্মেদ এবং কনস্টেবল মোঃ ইব্রাহিমের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ১২জুন নগরীর সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা মোড়ে মটরসাইকেল আরোহীকে মারধর এবং বরিশালে ২ ট্রাফিক পুলিশকে জনতার পিটুনির সংবাদটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে আমার মনে হচ্ছে। ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসানের দোষ কোথায়, সে তো কিছু করে নাই। ট্রাফিক পুলিশের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাদের উপর কোন সাধারন পাবলিক হাত দেয়নি। সার্জেন্ট হাসান আমার কাছে কোন ঘুষও দাবি করে নাই। তা ছাড়া আমার গাড়ির মালিকানা পরির্বতন না হওয়ায় তিনি আমাকে একটি মামলা দিয়েছেন।
তামিম মল্লিক ট্রাফিক পুলিশের সাথে ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, গত ১২জুন নগরীর সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা মোড়ে মটরসাইকেল আরোহীকে মারধর এবং বরিশালে ২ ট্রাফিক পুলিশকে জনতার পিটুনির সংবাদটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে দাবী করেছেন তামিম। তামিম নগরীর কাউনিয়ার এলাকার বাসিন্দা দুলাল মল্লিকের ছেলে। গতকাল বিকালে কালীবাড়ি রোডস্থ বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে একাধীক সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে এমনটাই বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। সরেজমিন অনুসন্ধানে একাধীক ব্যক্তি জানান, সার্জেন্ট হাসান আহম্মেদ এবং কনস্টেবল মোঃ ইব্রাহিমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রাফিক পুলিশের সাথে মটরসাইকেল আরোহীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তা ছাড়া কোন ঘটনা ঘটেনি। মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি সেখানেই মিমাংসা হয়ে গেছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তামিমকে যে ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে তাতো সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা জরিমানা হতে পারে। সেখানে সার্জেন্ট হাসানের দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবীর যুক্তিকতা কোথায়? স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় থানা পুলিশের টহল গাড়িটি একজন পথচারীর পায়ের উপর এক চাকা উঠে গেলে ওই পথচারী হাত দিয়ে অটোর সামনের গ্লাসে থাপ্পর দিয়ে তা থামানোর চেষ্টা করেন। এতে পুলিশবাহী ওই টহল অটোর গ্লাস ফেটে যায়। উত্তেজিত জনতা কোন পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, তিলকে তাল বানালেতো আর মানুষ বিশ্বাস করবে না। তবে সত্য কখনো চাপা থাকেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভাই পরের দিন পত্রিকায় এবং ঘটনার দিন একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে বিষয়টি দেখেছি। যেখানে তামিম নামের ওই যুবক নিজে স্বীকার করেছেন সার্জেন্ট হাসান কোন ঘুষ দাবী করেননি সেখানে এ ধরণের সংবাদ প্রকাশ হওয়াটা দুঃখজনক।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।