রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তামাক ও ধূমপান সংক্রান্ত আইন ও বিধি-বিধানের সঠিক প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ শুক্রবার ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, তামাকমুক্ত দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়, সুস্বাস্থ্য কাম্য তামাক নয়’ যথার্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তামাক মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক সেবনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, তামাক ও ধূমপান ধূমপায়ীর পাশাপাশি পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতিবছর ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ অকালে মারা যায়। টোব্যাকো অ্যাটলাসের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে মৃত্যুবরণ করে। রাষ্ট্রপতি বলেন, তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতা দেশের চিকিৎসা সেবার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই তামাক প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
আবদুল হামিদ তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে সচেতন নাগরিক সমাজ, তামাক ও ধূমপান বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন ও গণমাধ্যমগুলোর সমন্বিত প্রয়াসও অত্যন্ত জরুরি বলে জানান। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা তামাক ও ধূমপানমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। রাষ্ট্রপতি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।