প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১৯:৫৮
ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে দেশজুড়ে নানা আয়োজনের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, ড্রোন প্রদর্শনীর জন্য স্থানীয় ও চীনা সংস্থার সহায়তায় পাঁচটি স্থানে বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে, যা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) অধীনে বাস্তবায়ন করা হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের কাছে অভ্যুত্থানের ঘটনাবলি চিত্রভাষায় তুলে ধরা হবে।
কমিটি আরও একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে, যার মাধ্যমে ৬৩টি জেলা ও রাজধানী ঢাকায় এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মারক অনুষ্ঠান, সমাবেশ, পোস্টার, আমন্ত্রণপত্র ছাপা ও ইভেন্ট ডিজাইনসহ নানা উপকরণ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো জাতিকে জুলাই অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং নতুন প্রজন্মকে সেই চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক ও তথ্যভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনাও রয়েছে।
আয়োজনগুলোর মধ্যে তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে আন্দোলনের পটভূমি, শহীদদের অবদান এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথচলা। এতে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিকাশে জুলাই অভ্যুত্থানের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।
ড্রোন প্রদর্শনী হবে এ কর্মসূচির এক অনন্য সংযোজন, যা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং ঐতিহাসিক ঘটনাকে ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে উপস্থাপন করবে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে তরুণদের মাঝে নতুন মাত্রায় আগ্রহ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণের আয়োজনও এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতি একদিকে যেমন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে, তেমনি আন্দোলনের মূল চেতনাকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবে।
সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থান আবারও জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা আশা করছেন, এই আয়োজন নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূল্যবোধে বিশ্বাসী হতে।