কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারায় বনভুমির পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। মাটিভর্তি ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে গ্রামীন সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায়, বিক্ষুদ্ধগ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ভুমি প্রশাসন বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটা মাটিভর্তি একটি ডাম্পার গাড়ী আটক করেছে।
হরিণমারা ও আমিনপাড়া গ্রামবাসীর পক্ষে ছৈয়দুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন যুবকের স্বাক্ষরিত প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, হরিণমারা বাগানের পাহাড়ি গ্রামের ফিটিং বদু, ছৈয়দ করিম, ইয়াবা মাহমদুল হক, উখিয়া সদর বিটের হেডম্যান ইব্রাহিম, আলমগীর,উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের অধ্যাপক বেলাল উদ্দিনসহ ১০ /১২ জনের একটি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত শতশত গাড়ী দিয়ে পাহাড় কাটা মাটি পাচার করা হচ্ছিল। এসব মাটি পাচারের ধারাবাহিকতায় রাজাপালং ইউনিয়নের ৫/৬ টি গ্রামীন সড়ক সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে হরিণমারা হয়ে জাদিমুরা সড়ক পথে মাটি পাচার করার ফলে ওই সড়কটিও খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। হরিণমারা ও আমিন পাড়া গ্রামবাসীর অভিযোগ মাটি পাচারের ফলে এ সড়কটি বিধ্বস্ত হলে ৪/৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ আগামী বর্ষা মৌষমে পানি বন্দি হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে হরিণমারা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় মাটি কাটার শ্রমিক ও ১৮/২০টি ডাম্পার গাড়ীর চালক হেল্পার পালিয়ে যায়।একটি পাহাড় কাটার মাটিভর্তি গাড়ীসহ ৩জনকে আটক করা হয়েছে।আটককৃতরা হলেন, রত্নাপালং ইউনিয়নের থিমছড়ি গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে কামাল হোসেন, বশির আলমের ছেলে ইমরুল ইসলাম ও একই এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হতে পারে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।