আগৈলঝাড়ায় ২৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এফ এম নাজমুল রিপন
প্রকাশিত: বুধবার ১০ই এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
আগৈলঝাড়ায় ২৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ন

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এর মধ্যে ১৫টি বিদ্যালয়ের ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে উপজেলা প্রকৌশল ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে আবেদন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ওই সকল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা ভীতির মধ্যে রয়েছে। এসব বিদ্যালয় ধ্বসে পরে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকায় রয়েছেন তারা। অনেক সময় এসব বিদ্যালয়ের প্লাষ্টার খসে পরে শিক্ষাথীরা আহত হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলো পূণঃনির্মাণের জন্য দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। 

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পনেরশত নামে রয়েছে সরকারী ০৩টি বিদ্যালয়সহ ৯৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রচন্ডভীতির মধ্যে শিক্ষকরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান চালাচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো ১২ থেকে ১৫ বছর পূর্বে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ থেকে নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজের সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রকৌশল বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবার কারনে কাজগুলো নিম্নানের হয়েছে বলে ঝুকিপূর্ন বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। নির্মাণ কাজের সময় নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় কাজের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় ওই বিদ্যালয়গুলো অতি তাড়াতাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে।

উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উত্তর শিহিপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুর্ব সুজনকাঠী, সেরাল, পূর্বসুজনকাঠী আইডিয়াল, পশ্চিম সুজনকাঠী, নাঘিরপাড়, দাসপট্রি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাংতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব আস্কর, বাগধা হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পয়সা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম আমবৌলা, ফেনাবাড়ি, চক্রবাড়ি, ও তালতারমাঠ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫টি বিদ্যালয় অধিকঝুঁকিপূর্ণ ও ১৩টি বিদ্যালয় ঝুকিপূর্ন সহ ২৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুকিপূর্ন হিসেবে চিহিৃত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। উপজেলা প্রকৌশল ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানাবেন বলে জানান। 

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানদেরকে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। তাদের বিদ্যালয় পাঠিয়ে প্রতিমূর্হুত আতংকে থাকি যে কখন দুর্ঘটনা ঘটে। তারা জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলো পূণঃনির্মাণের জন্য দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে। তারা আরও জানান, বিদ্যালয়গুলো অনেকবার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও কোন কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম তালুকদার জানান, উপজেলার ২৮টি বিদ্যালয়কে ঝুকিপূর্ন হিসেবে চিহিৃত করে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। বরাদ্দ আসলে ওইসব বিদ্যালয় সংস্কার করা হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব