পাইকারী, খুচরা ও সঞ্চালন- তিন ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আগামী মার্চে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন এই দাম বৃদ্ধির পক্ষে বেশ কয়েকটি যুক্তি দেখিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন( বিইআরসি)।বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে কমিশন কার্যালয়ে বিদ্যুতের নতুন এই দামের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এই ছয়টি যুক্তি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
যেসকল কারণ বিবেচনা করে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সেগুলি তুলে ধরে আব্দুল জলিল বলেন, ‘এর মধ্যে রয়েছে আমদানি কয়লা ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ধার্য; ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ বৃদ্ধি; অপচয় ব্যয় বৃদ্ধি; তুলনামূলক কমমূল্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমুহের অধিক পরিমান বিদ্যুৎ ক্রয়; খরচের তুলনায় সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ; এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পে যে ঋণ তার সুদ পরিশোধ; ইত্যাদি।
কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের কমিশন আইন ও প্রবিধান অনুযায়ী যে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে সকল পক্ষের নির্দিষ্ট শুনানি, লিখিত বক্তব্য, শুনানি পরবর্তী বক্তব্য এবং দাখিল দলিলপত্র পৃঙাখানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ করে এই দাম বা সিদ্ধান্ত করা হয়েছে।’শুনানিতে কি দাম বাড়াতে বলা হয়েছিল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ বিষয়ে বলতে গেলে বিস্তারিত অনেক বড় কিছু বলতে হবে। যার জন্য সময় লাগবে। তবে কমিশনের সাইটে এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেওয়া হবে।’উল্লেখ্য, নতুন দামে সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৬ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ টাকা ১৩ পয়সা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।