অগ্নিকাণ্ডগুলো দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা, প্রশ্ন মেয়রের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ৩০শে মার্চ ২০১৯ ১০:০৬ অপরাহ্ন
অগ্নিকাণ্ডগুলো দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা, প্রশ্ন মেয়রের

সম্প্রতি সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডগুলো নিছক দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, গত আড়াই মাসের ব্যবধানে ঢাকা শহরের কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনা শুধুই দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে নাশকতা আছে, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র খোকন এসব কথা বলেন। 'নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা : চকবাজার-পরবর্তী প্রস্তুতি' শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডিসিসিআই। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআইর সভাপতি ওসামা তাসীর। বক্তব্য দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।  ডিএসসিসির মেয়র বলেন, অনেক সময় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝি হয়। এই সুযোগ তৃতীয় পক্ষ কাজে লাগিয়ে এই ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকা দরকার।

চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে মেয়র খোকন বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে পুরান ঢাকার চকবাজার, মৌলভীবাজার, বাবুবাজারের ব্যবসায়ীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। কিন্তু ব্যবসা করতে গিয়ে কেউ তো আর জীবন খোয়াতে পারে না। তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। জীবনের বিনিময়ে কোনো ব্যবসা হয় না। নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে নগর কর্তৃপক্ষ অতীতের মতো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মেয়র বলেন, দেশে ৩৫টি অতিদাহ্য রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে, যেগুলোর গুদাম পুরান ঢাকা থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় এসব গুদাম রাখতে দেওয়া হবে না। তাদের পুনর্বাসনের জন্য রাসায়নিক পল্লী নির্মাণে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ সময় তিনি এই ৩৫টি অতিদাহ্য রাসায়নিক অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে সমন্বয় করে আমদানি করার আহ্বান জানান।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব