৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের চেয়ে স্কুলের দুর্নীতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। রোববার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। গত সপ্তাহে দেশব্যাপী কোচিং সেন্টারে দুদকের অভিযানসংক্রান্ত একটি রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন- ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে আর শিক্ষকদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দুদক। আদালতের এ বক্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দুদক চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থার কারণে অনেক কিছুই আমরা সামনে আনতে পারি না। কমিশনের একার পক্ষে সব দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া দুর্নীতি দমন করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, সব দুর্নীতি ধরা কমিশনের ম্যান্ডেট নয়। যে বিষয়গুলো দুদকের আওতায় নেই সেগুলোকে আমরা সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নজরে আনি। কমিশন দুর্নীতিকে বিচার বিভাগ পর্যন্ত টেনে নিতে পারে। কিন্তু দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে পারব না। তিনি জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের যারা দুর্নীতিবাজ তাদের তালিকা তৈরির চেষ্টা করছি, সম্পদের হিসাব নিচ্ছি। দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেয়া হবে না। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অনেক ব্যর্থতা আছে। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দুর্নীতি কমাতে পারিনি। কমিশনের ভেতরেও দুর্নীতি আছে স্বীকার করে চেয়ারম্যান আরও বলেন, নেতৃত্ব সঠিক থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমবে। সিস্টেম ঠিক থাকলে দুর্নীতি কমবে। মানসিকতা ও মূল্যবোধের ইতিবাচক পরিবর্তন করা দরকার সবার আগে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।