মৎস্যখাতে প্রায় দুই কোটি মানুষের কর্মসংস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:৪৫ অপরাহ্ন
মৎস্যখাতে প্রায় দুই কোটি মানুষের কর্মসংস্থান

মৎস্যখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোট ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। গত ১০ বছরে গড় বার্ষিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ মানুষের। সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু রোববার প্রথমবার মৎস্য অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এসব তথ্য সম্পর্কে অবহিত হন। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে এ খাতের অবদান ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মৎস্য-উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মে. টন, ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ১৭ হাজার মে. টন। দেশের মোট উৎপাদনে মৎস্যচাষের অবদান ৫৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত ১০ বছরে মৎস্যখাতে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। একক প্রজাতি হিসেবে মাছের অবদান সর্বোচ্চ, যা মোট উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ। জাতীয় জিডিপিতে এর অবদান ১ শতাংশের বেশি।

এতে বলা হয়, মৎস্য চাষযোগ্য অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় যেমন- নদী-নালা, সুন্দরবন, বিল, কাপ্তাই লেকসহ প্লাবন ভূমি ৩৯ লাখ ৮ হাজার হেক্টর এবং অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয় যেমন পুকুর, বাঁওড়, মৌসুমি চাষাধীন জলাশয় ও চিংড়ি খামার ৭ লাখ ৯২ হাজার হেক্টর মিলে দেশে সর্বমোট জলাশয় রয়েছে ৪৭ লাখ হেক্টর। আমাদের দেশে ১২টি বিদেশি মাছসহ প্রায় ৩৫টি মৎস্য প্রজাতির মাছের চাষ হয়ে থাকে। অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য চাষের সম্প্রসারণের জন্য ৪৩২টি মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ইলিশ’ শীর্ষক ভৌগোলিক সনদ (জিআই সনদ) প্রাপ্তিতে নিজস্ব পরিচয়ে বিশ্ববাজারে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিমি এলাকায় মৎস্য আহরণে আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

দেশে ১০৪টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা বিদ্যমান। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামে তিনটি বিশ্বমানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮ সালে ৬৮ হাজার ৯৩৫ টন রফতানির মাধ্যমে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। মাছ বিশ্বের ৫৬টি দেশে রফতানি হচ্ছে। মাছ ও চিংড়ির পণ্যে রেসিডিউ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ইইউ মিশন-এর সুপারিশে ইইউভুক্ত দেশে বাংলাদেশের মৎস্যপণ্য রফতানিতে টেস্ট সার্টিফিকেট জমাদানের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়েছে, উল্লেখ করা হয় বিবরণীতে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর