'গ্রাম বাংলার শীতের পিঠা এখন অলিতে-গলিতে'

নিজস্ব প্রতিবেদক
এফ এম নাজমুল রিপন
প্রকাশিত: রবিবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
'গ্রাম বাংলার শীতের পিঠা এখন অলিতে-গলিতে'

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা চিতই,ভাপা পিঠা এখন বরিশালের আগৈলঝাড়ার  রাস্তার ধারে অলিতে-গলিতে। আগে গ্রামের মানুষ নবান্নের ধান ওঠার সাথে সাথে জামাই, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে পিঠা খাওয়ার আয়োজন করত। এ উপলক্ষ্যে আত্মীয় স্বজনের আনা-গোনায় পাড়া-মহল্লায় হৈহুল্লোয় পড়ে যেত। আস্তে আস্তে গ্রামীন ঐতিহ্য এখন হারাতে বসেছে।  শীত যায় শীত আসে। নবান্নের ধান কাটা হয় কিন্তু গ্রামে আর তেমন পিঠা আয়োজন চোখে পরে না।এক কালের আভিজাত্যের পিঠা এখন চলে গেছে রাস্তার ধারে ফুটপাতে।ঘুম থেকে উঠলেই চোখে পড়ে নিজেস্ব আয়ের গরীব পুরুষ ও মহিলারা আগৈলঝাড়া থানা সদর রোড, কালীখোলা রোড, নগরবাড়ী রোড, রাজিহার বাজার, বাসাইল বাজার, গৈলা বাজার, নিমতলা বাজার, জোবারপার বাজার, পয়সারহাট বাজার, বাঘধা বাজার, আস্করকালীবাড়ী বাজার, সাহেবেরহাট বাজার সহ বিভিন্ন রাস্তা ঘাট, অলিতে-গলিতে ফুটপাতে ভ্রাম্যমান চুলা বসিয়ে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। 

আর এ পিঠা প্রায় সব ধরনের লোকেই কিনে খাচ্ছে। শুধু তাই নয় বিকেল হলেই আগৈলঝাড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে পিঠার দোকান জাকজমকভাবে চলতে দেখা যায়। কথা হয় বিক্রেতা রশিদ মোল্লর সাথে তিনি জানান আগৈলঝাড়া বাজারের শহরের মেইন রোড একটি গুরুত্বপূর্নস্থান। আগৈলঝাড়া বাজারের যতায়াতের প্রবেশ পথ। সারাদিন সংসারের কাজ কর্ম করে বিকালে ৮থেকে ১০ কেজি আতব চালের গুড়া, ধুনিয়াপাতা ভর্তা, সরিষা ভর্তা, ডাল ভর্তা, শুটকি ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা, নারিকেল কোড়া আর খেজুরের গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করলে ১৪০০শত থেকে ১৬০০টাকা বিক্রি করি। এতে আমার ভালোই লাভ হয়। পিঠা খাওয়া অবস্থায় সরদার হারুন রানা নামের একজন ভদ্রলোক তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, আগের জামানার চেয়ে বর্তমানের মেয়েরা অনেক আধুনিক। দ্রব্যমুল্যের দামও বেশী। এখন মেয়েরা বাড়ীতে এ সব ঝামেলা মনে করেন। তাই বন্ধুদের নিয়ে ফুট পাতেই পিঠা খেতে বসেছি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব