প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৪
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য আমদানিতে শুল্ক কমানো সম্ভব হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভার শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা রয়েছেন এবং আগামীকালের মিটিংয়ের পর আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এবং এর প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত প্রথম মিটিং ইতিবাচক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনের জন্যই ইউএসটিআরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র ৫ মিলিয়ন ডলার, যেখানে ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১২৫ বিলিয়ন ডলার। এই তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক কম হলেও তাদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি এত কম, সেখানে এত বেশি শুল্ক দেয়ার যৌক্তিকতা নেই।’ এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের বিরোধিতা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের পথ খোলা হবে।
আলোচনার পাশাপাশি তিনি জানান, এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি এবং বাংলাদেশে আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থার সমন্বয় ঘটানো হবে, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলছেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য স্বার্থ রক্ষা ও সম্প্রসারণের জন্য এই ধরনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
সর্বশেষ তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করব যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত হয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের পণ্য সহজে প্রবেশ করতে পারে।’ এই প্রচেষ্টা সফল হলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।