বাংলাদেশ সফরে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা, থাকছে রাজনৈতিক বৈঠক

প্রথমে ঢাকায় আসবেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক। কিছুক্ষণ পরই পৌঁছাবেন পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ। এই সফরে হেরাপের সঙ্গে থাকবেন মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনও, যা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ঢাকায় এসে প্রথম দিনেই মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রতিনিধিদলটি। এরপর তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী, এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেবেন। এই মতবিনিময় থেকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের বাস্তবচিত্র তারা জানতে চাইবেন।

পরদিন বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের সঙ্গে তাদের আলাদা বৈঠক হবে। এসব বৈঠকে সংস্কার প্রক্রিয়া, মানবাধিকার পরিস্থিতি, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহায়তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নিকোল চুলিক তার সফরের সময় বিশেষভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোকপাত করবেন। অন্তর্বর্তী সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার গতিশীলতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে নাগরিক সমাজের মতামতও শোনা হবে।

অন্যদিকে অ্যান্ড্রু হেরাপের আলোচনার মূল ফোকাস হবে মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যু। মিয়ানমারে জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে, যার ফলে দেশটি এখন মাদক পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, অপহরণ ও মানব পাচারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে, যা হেরাপের আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে।

সফরের শেষ দিনে প্রতিনিধিদলটি সার্বিক আলোচনার ওপর ভিত্তি করে একটি সংক্ষিপ্ত যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুনভাবে মূল্যায়নের সুযোগ তৈরি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।