মাধবপুরে একদিনে দুটি মরদেহ উদ্ধার, রহস্য ঘিরে সংশয়

পুলিশ জানায়, দুপুরে ছাতিয়াইন-শিমুলঘর সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে পাশে একটি খালের মধ্যে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা মাধবপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে ছাতিয়াইন তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল এবং এখনো তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত কোনো দুর্বৃত্ত একাধিক দিন আগে তাকে হত্যা করে নির্জন এই স্থানে ফেলে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মরদেহের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।”

এদিকে মঙ্গলবার সকালে মাধবপুর পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকার একটি বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় হেলাল মিয়া (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ। নিহত হেলাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে। তিনি মাধবপুরে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন এবং স্থানীয় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সকালে হেলালের রুমমেট তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে আমাদের খবর দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়।”

প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে নিহতের পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।