নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের পশ্চিম নরোত্তম পুর গ্রামের আমিন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, গভীর রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস এখনো আগুন লাগার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভস্মীভূত দোকানগুলো হলো—আলমগীর কবির ফার্মেসি, আল্লাহর দান ভ্যারাইটিজ স্টোর, প্রাইম ফ্যাশন টেইলার্স, ইউসুফ ডেকোরেশন, রিসিকা হেয়ার কাটিং, নুরুজ্জামান স্টোর গোডাউন, তাকওয়া এন্টারপ্রাইজ, মোল্লা চা স্টোর ও সালমান সোবহান ভ্যারাইটিজ।
মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ী আলমগীর কবির জানান, “রাত সোয়া ১টার দিকে খবর পাই মার্কেটে আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেই। ওনারা আসার আগেই আমাদের সব দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমরা বিশ্বাস করি—একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মার্কেটটিকে টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, আমাদের ঘুরে দাঁড়াবার ক্ষমতা নেই। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা। আগুন লাগানোর কিছু আলামত আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। আশা করি, তারা তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করবে।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন রুবেল বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ধরণ ও সব দোকানে একসঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে যে এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
সদর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মনছুর বয়াতি বলেন, “খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে।”
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা তাদের সব পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, এটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে।