সিলেটের কালীঘাট পাইকারি বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে অন্যান্য পণ্যও কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। রবিবার রাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, এক কার্টুন সয়াবিন তেলের সঙ্গে অতিরিক্ত পণ্য কেনার শর্ত দিচ্ছেন পাইকাররা। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তেল কিনতে হলে চাল, চিনি, ঘি বা অন্যান্য বাজারে কম চলা পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। নগরীর জেরজেরি পাড়ার হবিব স্টোরের মালিক জানান, এক কার্টুন তেল কিনতে তাকে এক বস্তা চাল কিনতে হয়েছে, না হলে ডিলার তেল বিক্রি করতেন না।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারদের চাপের কারণে সয়াবিন তেলের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃতভাবে কম চাহিদার পণ্য নিতে হচ্ছে, যা বিক্রি করা কঠিন। সিলেটের বাজারে গত কয়েক দিন ধরে সয়াবিন তেলের সংকট আরও বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, তেল কিনতে গেলে কোম্পানির অন্যান্য অফ প্রোডাক্ট নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে খুচরা বিক্রেতারা কম পরিমাণে তেল কিনছেন এবং বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, আগে দোকানের সামনে তেলের বোতল সাজিয়ে রাখা হলেও এখন তা কম দেখা যাচ্ছে।
পাইকারি বাজারে তেল কিনতে গিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে চাল, ঘি ও অন্যান্য পণ্য কিনতে হচ্ছে, যা খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার স্বপ্না স্টোরের মালিক বলেন, পাইকারদের চাপের কারণে আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণে তেল আনতে পারছি না। অথচ সাধারণ ক্রেতাদের আমরা এভাবে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করতে পারি না। ফলে দোকানে অপ্রয়োজনীয় পণ্য জমে থাকছে।
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরাও একই অভিযোগ করছেন। তারা জানান, তেলের সরবরাহ কম থাকায় কোম্পানিগুলো নিজেদের অন্যান্য কম চাহিদার পণ্য বিক্রির সুযোগ নিচ্ছে। এতে করে পাইকারদেরও নির্দিষ্ট শর্তে তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। কালীঘাট পাইকারি বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের তেল কিনতে হলে কোম্পানির ১৩৫০ টাকা দামের ঘি বা অন্যান্য অফ আইটেম কিনতে হচ্ছে। এতে বাধ্য হয়ে খুচরা বিক্রেতাদের ওপর একই চাপ দেওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এ ধরনের শর্ত আর থাকবে না। তবে বর্তমানে কোম্পানিগুলোর চাপের কারণে পাইকারি বাজারেও তেলের সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। এতে করে সাধারণ ক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।