মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪৯ শিক্ষার্থী চান্স পেলেন অথচ সনদ যাচাইয়ে অনুপস্থিত !

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - স্বাস্থ্য বিভাগ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩০শে জানুয়ারী ২০২৫ ১২:২০ অপরাহ্ন
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪৯ শিক্ষার্থী চান্স পেলেন অথচ সনদ যাচাইয়ে অনুপস্থিত !

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৪৯ জন শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে সনদ যাচাইয়ে উপস্থিত হননি। তাদেরকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রমাণসহ উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) একটি নোটিশ প্রকাশ করে এই তথ্য জানায়। 


নোটিশে বলা হয়েছে, যদি তারা সনদ যাচাইয়ের জন্য উপস্থিত না হন, তবে তাদের কোটার দাবিদার হিসেবে গণ্য করা হবে না। গত ২৭, ২৮ এবং ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের সনদ যাচাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ডেকেছিল। এর মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। 


এছাড়া, ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় এবং অ-উপজাতীয় জনগণের কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সনদ যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে ১০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হননি। 


স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সনদ যাচাইয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে কোটার দাবিদার হিসেবে গণ্য করা হবে না। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সনদ যাচাইয়ের জন্য এই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে উপস্থিত হতে হবে। 


এদিকে, ২৮ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির অনলাইন আবেদন এবং মাইগ্রেশন সংক্রান্ত একটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে সব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটার স্বপক্ষে সনদ যাচাই-বাছাই চলমান রয়েছে। তবে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। 


২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৬৯টি আসন রয়েছে, এর মধ্যে ১৯৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে, কোটার দাবিদার হিসেবে সনদ যাচাইয়ের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। 


এছাড়া, সনদ যাচাইয়ের জন্য হাজির না হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। 


এই অবস্থায়, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সনদ যাচাইয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হয়ে উঠবে, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।