সংবিধান থাকলে সরকার নেই, সরকার থাকলে সংবিধান নেই-ইসহাক খন্দকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৩ অপরাহ্ন
সংবিধান থাকলে সরকার নেই, সরকার থাকলে সংবিধান নেই-ইসহাক খন্দকার

জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার বলেছেন, "সংবিধান থাকলে সরকার নেই, এবং সরকার থাকলে সংবিধান নেই।" শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। 


ইসহাক খন্দকার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, "যখন দাবি উঠেছিল যে, ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে, তখন আমাদের কিছু বন্ধু আফসোস করেছিলেন যে, সংবিধান লঙ্ঘিত হবে। আমি তাদের প্রশ্ন করি, আজকে কি আমাদের সংবিধান আছে? এই সংবিধান দিয়েই তো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে।"


তিনি আরো বলেন, "আমরা কোন সংবিধানের কথা বলছি? যখন জনগণকে হত্যা করা হচ্ছে, তখন সংবিধান মানে কি?" 


ভারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা ভারতকে স্পষ্ট জানাতে চাই যে, তারা যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তা না করে। তারা যদি বাংলাদেশের দিকে বাকা চোখে তাকায়, তবে তাদের চোখ তুলে ফেলব। ভারত বাংলাদেশ থেকে লাথি খেয়ে চলে গেছে এবং আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই।" 


এছাড়া, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, "ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তাদের সুসম্পর্ক নেই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, মিয়ানমার এমনকি হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সঙ্গেও তাদের সুসম্পর্ক নেই। মালদ্বীপ থেকেও তাদের লাথি মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে।"


ইসহাক খন্দকার আরো বলেন, "আগে এক সময় হাসিনা বলেছিলেন যে, তিনি বাংলাদেশে আসবেন। আমরা তাকে কাশিমপুর কারাগারে বসেই তার বিচার দেখতে চাই। ২০০০ ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ডের বিচার, ৩৫ হাজার গুলিবিদ্ধ আহতদের বিচার শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছে।"


তিনি ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। "শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগের অপকর্মের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রলীগসহ সব লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছিল, কিন্তু আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন করেছে, কাদের সাথে আলোচনা করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? শহীদ পরিবারের মা-বাবার সাথে আলোচনা করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল," বলেন তিনি। 


সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ আবুল হাসেম, জেলা জামাতের সহকারী সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন, উপজেলা জামাতের আমীর বেলায়েত হোসেন ও সেক্রেটারী মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।