হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে পিস্তল ও গুলি নিয়ে প্রবেশ করা প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিমান মন্ত্রণালয় মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ও গুলি ধরা না পড়ার প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে পিস্তল ও গুলি ধরা না পড়ার প্রসঙ্গে একের পর এক মিথ্য বলছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিমান মন্ত্রণালয় মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। যে ভিডিও ফুটেজটি বের হয়েছে তা জনগণের সামনে বের করে আনা হোক। তাহলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে। তখন প্রমাণ হবে কে সত্য বলছে, আর কে মিথ্যা।’
এর আগে দুপুরে বিমান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সংবাদ মাধ্যমে অন্যায়ভাবে একেরপর এক অসত্য কথা বলছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ওইদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যা ঘটেছে; ইলিয়াস কাঞ্চনের ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা অস্ত্র ও গুলি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের অ্যান্টি হাইজ্যাকিং পয়েন্টে স্ক্যানিং করার সময় তা শনাক্ত হয়। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার ভুল স্বীকার করেন। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাকে বিমানবন্দরের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিস্তলটি বহন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ওই স্থান থেকে ফেরত যান। পরবর্তীতে তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিমানে চট্টগ্রামে গমন করেন।
তবে এর আগে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছিলেন, ‘আমার পিস্তলটি থানায় জমা ছিল। কিছুদিন আগে আমি তা ফেরত আনি। ওই সময় এটি ব্যাগে রাখি। আমার পিস্তলটি ল্যাপটপের ব্যাগে ছিল। আমি ওই ব্যাগটি নিয়ে বের হই। বিমানবন্দরে প্রবেশ করার পর আমি ল্যাপটপের ব্যাগটি স্ক্যানার মেশিনে দেই। প্রথম স্ক্যানার পার হওয়ার পর মনে হলো, আমার ব্যাগে পিস্তল আছে। তখন আমার চিন্তা হলো, পিস্তলটি স্ক্যানারে কেন ধরা পড়ল না? ওই সময়ই আমি নভোএয়ার কাউন্টারে গিয়ে বিষয়টি জানালাম। তারা ফোন করলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সেখানে আসেন। ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘কেন স্ক্যানারে পিস্তলটি ধরা পড়েনি, আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমন দুর্বল, তা আমার জানা ছিল না। এটা আমি না হয়ে অন্য কেউ বা সন্ত্রাসীও তো হতে পারতো। বড় ধরনের কোনো ঘটনাও ঘটতে পারতো। তখন কী পরিস্থিতি হতো? আমি এটি করলাম ভালোর জন্য, এখন দেখছি তা খারাপ হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।