ভয়ংকর মোখা: ২১৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১৩ই মে ২০২৩ ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
ভয়ংকর মোখা: ২১৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানার আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। রোববার (১৩ মে) সকালের দিকে শক্তি সঞ্চয় করে এটি ক্যাটাগরি-৪ ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ১৮০ থেকে ২১৫ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম।

 


সন্ধ্যায় সংস্থাটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক মো. খালিদ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এটি বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। সোমবার (১৪ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এটি কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ অংশে আঘাত হানতে পারে।

 


মোখার সর্বশেষ অবস্থান:

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমার উপকূলে প্রায় ১৮০ থেকে ২১৫ কিলোমিটার দমকা বা ঝড়ো বাতাসের প্রাবল্যতাসহ এটি আঘাত হানতে পারে। এ সময় ঝড়ের শক্তির বাতাস প্রায় ২০০-২৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে বিস্তৃত থাকতে পারে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার জেলায় সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়েদার অবজারভেশন টিম।

 

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকা ১৫ থেকে ২৫ ফুট উচ্চ বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম উপকূলে প্রায় ১২ থেকে ১৫ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

 

এদিকে রাতে সর্বশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া দফতর জানায়- অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 


আবহাওয়া দফতর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।



উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।