ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশনের আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, গণকমিশনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গণকমিশন নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘‘গণকমিশনের আইনে কোনো ভিত্তি নেই। তারা একটি বই প্রকাশ করেছে ‘২০০৩ এ সন্ত্রাস’ নামে। বইয়ের ভেতরে কি লিখেছে তা আমি জানি না। এগুলো আমাদের দেখতে হবে। তারা কাদের নামে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায় দিয়েছেন এগুলো আমরা কেউই কোনোও তদন্ত করিনি। সুতরাং এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তারা দিয়েছেন, আমরা না দেখে বলতে পারব না, দেখে বলতে হবে।’’
গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজত আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। তারা আন্দোলনে নামলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
এমন প্রশ্নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আইন কেউ হাতে নিলে আমাদের যা করণীয় সেটাই করবো। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি। আমরা একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, যে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই সে অভিযোগ আমরা আমলে নেই না।’’
গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তা ও আলেমের নামের তালিকা হস্তান্তর করে গণকমিশন। ধর্মীয় বক্তা ও আলেমকে ধর্ম ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কমিশনের অভিযোগ, জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছে।
গণকমিশনের চেয়ারম্যান হলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।