করোনাসহ নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। সবকিছু ডিঙিয়ে দৃশ্যমান হলো দ্বিতীয় টিউবের মুখ। সেইসঙ্গে দুটি টিউবের মাধ্যমে মিলল কর্ণফুলী নদীর দু'পাড়। দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে আরও একটি বড় সুখবর। নানা চড়াই-উতরাই শেষে স্থাপিত হলো কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দু'পাড়ের বহু কাঙ্ক্ষিত সংযোগ।
দ্বিতীয় টিউব খনন শেষ হওয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় মূল অবকাঠামোর কাজ। বঙ্গবন্ধু টানেলের এই দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে অন্তত দশ মাস। এর আগে গেল বছরের আগস্টে শেষ হয় প্রথম টিউবের খনন কাজ। দুই লেনের প্রতিটি টিউব খনন করা হয়েছে নদীর তলদেশ থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায়। সব মিলে পুরো কাজের শেষ হয়েছে ৭৩ শতাংশ।
প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, যেহেতু দুইটি টিউবের মধ্যে আন্তঃসংযোগ এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং এটার উপর নির্ভর করছে প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যাবে কিনা। তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করব, প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করার।
এই প্রকল্পে ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উচ্চতার ২ দশমিক তিন পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি টিউব ছাড়াও নদীর দু'পাড়ে সংযোগ সড়ক থাকছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। থাকছে সেতু-কালভার্ট।
বলা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এই টানেল দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে খুলে দেবে সারাদেশের যোগাযোগের নতুন দুয়ার। তবে পুরোপুরি সুফল পেতে টানেল সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজও ঠিকমতো শেষ করার ওপর জোর দেন ব্যবসায়ীরা।
এই টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যার বড় একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, দেশের অন্যান্য মেগা প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়লেও কোনোটাই বাড়াতে হয়নি টানেল প্রকল্পের।
কর্তৃপক্ষের আশা, আগামী বছর ডিসেম্বরের আগেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।