প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৩০
নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মুলতান হোসেন এর সরকারি অফিস কার্যালয়ে বসে অফিস চলাকালীন সময়ে উপজেলার সফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.শামসুল হক ( বাচ্চু ) ও পিআইও সকলের সামনে প্রকাশ্যে ধুমপান করছেন। গত রবিবার দুপুরের দিকে বাচ্চু চেয়ারম্যান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার কার্যালয়ে গেলে পিআইও মুলতান হোসেন তাদের ব্যক্তিগত কথার মাঝে সিগারেট চাইলে তাকে সিগারেট দিলে চেয়্যারম্যান সিগারেটটি ধরিয়ে অফিসে বসেই প্রকাশ্যে সিগারেট খাচ্ছিলেন।
২০০৫ সালে সরকার ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০১৩) প্রণয়ন করলেও মহাদেবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তার দপ্তরে প্রকাশ্যেই দাপ্তরিক কাজে আসা লোকজনের সামনে ধূমপান করেন চেয়াম্যান ও পিআইও। অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিজেও নিয়মিত সরকারি দপ্তরে বসে ধুমপান করেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের কয়েকজন কর্মচারীরা অভিযোগ করেন।রবিবার দুপুরের দিকে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রথম সংবাদ পত্রিকার নিউজরুম এডিটর চলমান মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এ সময় গনমাধ্যমকর্মী ও সেবা গ্রহীতাদের সামনেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মর্কতা মুলতান হোসেন উপজেলার সফাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.শামসুল হক (বাচ্চু) সিগারেট চাইলে তিনি তাকে তার অফিসের ড্রয়ার থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে সেখান থেকে সিগারেট দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান অফিসে বসেই সকলের সামনেই ধূমপান করছিলেন। এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানকে গনমাধ্যমকর্মীরা অফিস রুমে ধূমপান না করার অনুরোধ জানালে তাতেও কোন কর্ণপাত না করে সেখানেই ধূমপান করছিলেন তারা। এরপর মুজিববর্ষের চলামান প্রকল্পের তথ্য চাইলে কোন তথ্য দেয়া যাবেনা বলে পিআইও অফিস ত্যাগ করেন।এর পর সরকারি অফিসে বসে প্রকাশ্য ধুমপানের বিষয়ে উপজেলার সফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.শামসুল হক বাচ্চুর সাথে মুঠোফোনে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে সেদিন আমার ছোট ভাই মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার কবলে পড়েছিল যার কারনে খুবই মানসিক দু:চিন্তায় ছিলাম। সরকারি দপ্তরে বসে ধূমপান করা হয়তো উচিত হয়নি ।
অপর এক প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, দেখুন অনেকই তো অফিসে বসে চলাকালীন সময়ে ধূমপান করেন। নিয়ম তো অনেক কিছুই আছে কিন্তু সেটা মানে ক’জন। টেনশনের কারনে পিআইও সাহেবের কাছে থেকে একটি সিগারেট নিয়েছিলাম। যাই হোক এটা করা আমার হয়তো উচিত হয়নি।নিজ দপ্তরে বসে ধূমপান করার বিষয়ে মুঠোফোনে মহাদেবপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মুলতান হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আপনারা আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে নিয়ে কেন এসময় ফোন করছেন? অফিসে আসলে এবার আপনাদের বেঁধে রাখবো।
অফিস চলাকালীন সময়ে ধূমপান করা কতটা যৌক্তিক জানলে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে তো খারাপ সম্পর্ক নাই অফিসে আসেন ভাই কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি। এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো.মিজানুর রহমান বলেন, অফিস চলাকালীন সময় সরকারি দপ্তরে বসে ধূমপান করা উচিত নয়। এবিষয়ে উক্ত চেয়ারম্যান ও প্রকল্পবাস্তাবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে ছুটিতে আছি আগামী মঙ্গলবার গিয়ে আমার অফিসে তাদের ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।