প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:২৩
৪১তম স্প্যান জোড়া লাগানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের বহুল প্রত্যাশিত পদ্মাসেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। যার মধ্য দিয়ে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপনও ঘটলো।কিন্তু হিসাব কষলে দেখা যায়, গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক পথের সংযোগন স্থাপন হলো।আর স্বপ্নের এ সেতুর ধাপে ধাপে এমন এগিয়ে যাওয়ায় উচ্ছসিতও দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশালের মানুষ। বিশেষ করে সড়ক পথকে ঘিরে নানান জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে সাধারণ মানুষসহ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
বাসচালক জাকির হোসেন , সমুদ্রসৈকত দেখতে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা ব্যয় করে কষ্ট হলেও এখন মানুষ কক্সবাজার যাচ্ছেন। কিন্তু পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে ঢাকা থেকে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ কক্সবাজারের থেকে অর্ধেকেরও কম সময় লাগবে কুয়াকাটায় আসতে। আবার বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠির ভাসমান বাজার অর্থাৎ ফ্লোটিং মার্কেট কিংবা শাপলার বিল দেখতে ঢাকা থেকে আসতে তেমন একটা সময়ের প্রয়োজন হবে না।
আর সময় লাগছে ৬ ঘণ্টা মতো। কিন্তু বরিশাল থেকে মাওয়া হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে সরাসরি যাওয়া বাসগুলো আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আর মাইক্রোবাসগুলো ২ থেকে সোয়া ২ ঘণ্টার মধ্যেই কাওরাকান্দি পৌঁছাচ্ছে। প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে ২ থেকে সোয়া ২ ঘণ্টা লাগছে। এরপর ফেরি ও জোয়ার-ভাটা ভেদে মাওয়া প্রান্তে যেতে কখনও দেড়ঘণ্টা, আবার কখনও ২ঘণ্টা লাগছে। এরপর ১ ঘণ্টার সময়ের মধ্যে যাত্রাবাড়ী কিংবা সায়েদাবাদে পৌঁছে যাচ্ছে ওইসব গাড়ি।