মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের সনমন্দি গ্রামে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হালমা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আ'লীগ নেতা মো. রাসেল হাওলাদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ৯৯৯ এ ফোন দিলে ডাসার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পরিবারকে উদ্ধার করে। তবে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনার বিষয়ে ধামাচাপা দিতে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবি মাঝি (৬৫) দীর্ঘদিন ধরে সনমন্দি বাজারে ইকবাল খানের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় বালিগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আ'লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. রাসেল হাওলাদারের নেতৃত্বে ওবায়দুল হাওলাদার, লাভলু হাওলাদার ও সবুজ হাওলাদার মিলে রবি মাঝির উপর হামলা চালান। হামলার পর রবি মাঝি জীবন বাচাতে ইকবালের দোকানে আশ্রয় নেন, তবে সেখানেও আ'লীগ নেতা রাসেল হাওলাদার শতাধিক লোক নিয়ে হামলা চালান। হামলায় রবি মাঝি ও তার স্ত্রী শিলা মাঝি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে।
রবি মাঝি ও তার স্ত্রী শিলা মাঝি জানান, রাসেল আ'লীগের নেতা হওয়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে আছেন। তারা দাবি করেন, রাসেল তাদের বসতঘরের পিছনের জায়গা দিয়ে রাস্তা তৈরি করার বিরুদ্ধে নিষেধ করেন এবং এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারধর করেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান খান বলেন, তিনি বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলেন, তবে ভুক্তভোগী পরিবার তার কাছে আর আসেনি।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তবে, বিষয়টি এখনও সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় এলাকার সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ বলেন, যদি প্রশাসন ও পুলিশ এই ধরনের ঘটনা দ্রুত সমাধান না করে, তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। তারা দাবি করেছেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।