ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে মসজিদে জুতা চুরি নিয়ে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতের এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন ব্যক্তি আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে শৈলকুপা ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনা ঘটেছিল তারাবির নামাজের পর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গোকুলনগর গ্রামে মসজিদের নামাজের পর থেকে জুতা ও সেন্ডেল রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাতেও একই ঘটনা ঘটে। নামাজ শেষে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
দ্বন্দ্বের মূল কারণ ছিল গ্রামের আধিপত্য নিয়ে আব্দুল মালেক ও আমজাদ হোসেনের মধ্যে বিরোধ। জানা গেছে, আব্দুল মালেকের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের জুতা-সেন্ডেল মসজিদে নামাজের পর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার পর, মালেক সমর্থকরা আমজাদ সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন, যা এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার দিয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম, সুজন বিশ্বাস, উত্তম বিশ্বাস ও রিপন বিশ্বাসসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান জানান, গোকুলনগর গ্রামে কয়েকদিন ধরে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে এবং এটি মূলত একটি ভুল বোঝাবুঝি এবং গ্রাম্য আধিপত্যের ফলস্বরূপ সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রামবাসীরা তাদের অভিযোগ পুলিশে জানানোর পর পুলিশ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং গ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গ্রামের এই সংঘর্ষের পর, মসজিদে নামাজের পর জুতা চুরির ঘটনার বিষয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। পুলিশ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলছে এবং সঠিক কারণ বের করার চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।