দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল আকস্মিকভাবে জারি করা সামরিক আইন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার করেছেন। দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতা এবং চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারির পর পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি জানান, জাতীয় পরিষদ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সেই দাবি মেনে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, "জাতীয় পরিষদের অনুরোধ মেনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাধ্যমে সামরিক আইন তুলে নেব।" এর আগে জাতীয় পরিষদ সিল করে দেওয়া হয় এবং সামরিক বাহিনী অল্প সময়ের জন্য ভবনে প্রবেশ করে।
এই পদক্ষেপ সারা বিশ্বে দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্রদেরও বিস্মিত করে। ঘটনাস্থলে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান নেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সামরিক আইন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জানান, পার্লামেন্টের অবস্থান মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আইনপ্রণেতারা সামরিক আইন জারির তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।
স্থানীয় বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্ত্রিসভা সামরিক আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি ও তা দ্রুত প্রত্যাহার করার ঘটনা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উভয়ের জন্যই আলোচিত ইস্যু হয়ে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।